ছাগল-কাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অপসারিত সদস্য মতিউর রহমান এবং তাঁর দুই স্ত্রী ও সন্তানের সম্পদের বিবরণ জমা দিতে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো পৃথক চিঠিতে তাঁদের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেওয়া হয়। দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদেশপ্রাপ্তির ২১ কার্যদিবসের মধ্যে দুদক কার্যলয়ে সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলা হয়েছে।

নোটিশগুলোতে বলা হয়েছে, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে দুদকের স্থির বিশ্বাস জন্মেছে, আপনারা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্বনামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ/সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। নিজ ও আপনাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তির নামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী কমিশনে দাখিল করবেন।

মতিউর ছাড়াও যাঁদের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ পাঠানো হয়েছে, তাঁরা হলেন মতিউরের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ, প্রথম পক্ষের বড় সন্তান আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণব ও মেয়ে ফারজানা রহমান ইপ্সিতা এবং দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিভলী।

তবে দ্বিতীয় পক্ষের তিন সন্তান অপরিণত বয়সের হওয়ায় তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিল করা হয়নি বলে জানায় দুদক সূত্র।

এর আগে গত ৩০ জুন দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে মতিউর রহমান, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নাম উল্লেখ করে ঢাকা, নরসিংদী ও মুলাদির সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ও ভূমি অফিস, রাজউক, জয়েন্ট স্টক কোম্পানিসহ বিভিন্ন দপ্তরে পৃথক পৃথক চিঠি দেওয়া হয়।

মতিউর রহমানের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য অনুসন্ধানে গত ২৩ জুন তিন সদস্যের টিম গঠন করে দুদক। সংস্থাটির উপপরিচালক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্ব টিম কাজ করছে। গত ২৪ জুন মতিউর রহমান, তাঁর স্ত্রী লায়লা কানিজ ও ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।